ছেঁড়া পাতা

কবিতার পাতায় হৃদয়ের শব্দ

অরুণ মিত্র

রাস্তা

রাস্তা -অরুণ মিত্র রাস্তার কথা ছাড়া কী আছে আর? ঘরগুলোই তো রাস্তায় উনুনের ধোঁয়ায় কচি আওয়াজ ঘুরছে, জাদুখেলা চলছে পুঁতির মালা পুতুল আর রঙিন ছবির, ছাইগাদার স্বপ্নের চারা ছোট ছোট পাতা নাড়ছে খুকীর হাতের লাল রুলি খোকার ধরা ঘাড়বাঁকানো ঘোড়া বাতাস মজিয়ে দেখছে, ক্ষুদে ক্ষুদে পাগুলোর শব্দ ঠিক গানের মতো। অনন্ত নীল থেকে অনন্তপ্রসাদের গলা; […]

রাস্তা Read More »

ডাকছি

ডাকছি -অরুণ মিত্র পুরোনো কথা ঝলমলিয়ে ওঠে। সেই সময় আমি খুব উজ্জ্বলের মধ্যে প্রবেশ করেছিলাম যেমন হয় দেয়ালায়। তোমার দু চোখ ছেঁকে নিয়েছিল হীরেচুর, সে এক ভেলকি আলো আলোর ঢেউয়ে ভাসছিল আমার রক্তমাংসের শরীর ইটকাঠ গাছপালা-পশুপাখি আঃ কী ঝলক , আমার ঠোঁটে সেই স্বপ্নহাসি যেমন ফুটত শুনি খুব কচি বয়সে । কোনো ভাবনা কি কাছে

ডাকছি Read More »

আর একটু থাকো

আর একটু থাকো -অরুণ মিত্র তোমাকে এই স্বরব্যঞ্জনে রেখেছি, তুমি তো মাঠের মেয়ে খঞ্জনার নাচের মেয়ে, তুমি ডানা ঝাপটাচ্ছ অনবরত । আর কতক্ষনই-বা তুমি থাকবে এখানে আমার এই কলমের নীচে? তোমাকে ডাকছে রোদের আকাশ ঝরন্ত ঘামের মাঠ, এত ভালোবাসতেও তুমি পারো তাদের ! তবু বলছি তুমি আমার আঙুলের ডগায় এই লাল বিন্দুতে একটু থাকো আমাকে

আর একটু থাকো Read More »

ন্যাতাপরা ছেলেমেয়েরা

ন্যাতাপরা ছেলেমেয়েরা -অরুণ মিত্র ন্যাতাপরা ছেলেমেয়ে গলির এখানে-ওখানে এসে জড়ো হয়। আমার সঙ্গে তারা সোজাসুজি কথা বলতে পারে না, যদিও কথা তাদের বুক ঠেলে আসে। আমাকে দেখে তাদের ঠোঁট একটু খোলে, গোল হয়, ছড়িয়ে যায়। একটা নাম সেখানে পরিষ্কার আঁকা হয়। কোনো ঝড় ওঠে না, নিঃশ্বাসের বাতাস তাকে জড়িয়ে ধরে সমস্ত গলিটা পারাপার করে। বারান্দা

ন্যাতাপরা ছেলেমেয়েরা Read More »

মধুবন্তী

মধুবন্তী -অরুণ মিত্র আমাকে ছিঁড়ছে কুটিকুটি করে ছিঁড়ে ফেলছে মধুমন্তী, আমি শব্দ করতে পারছি না আমার সব শব্দ গ্রাস করছে মধুমন্তী, শব্দের যন্ত্রনা এক সুখ থেকে আরেক সুখে লুটিয়ে পড়ছে। আমি কান পেতে শুনছি কিন্তু কোথায় আমার কান, কোন টুকরোয় জ্যোৎস্না হাসছে কোন টুকরোয় রোদের চিৎকার ? আমাকে ছিঁড়ে ছিঁড়ে কুরে কুরে ছড়িয়ে দিচ্ছে মধুবন্তী,

মধুবন্তী Read More »

ভালোবাসাবাসি

ভালোবাসাবাসি -অরুণ মিত্র এই রকমই চলুক-না। সাপে নেউলে খুব ভাব। কুকুর বেড়ালেও। সাপের যদি পাঁচটা না হোক দুটো পা-ও বেরোত আর অন্যদের চার পা আলাদা নড়াচড়া করত, তালে গৌরনিতাই দৃশ্য হত। প্রেমের জোয়ারে ভাসছে ঘরবার চরাচর। দুপায়ে হাঁটা জন্তুরাও আলতো নেই, ছোঁয়াচেই আছে। শত্রু-মিত্র ভেদ মুছে গেছে। তুমি আমার মাথায় কাঁঠাল ভাঙো, আমি ভাঙি তোমার

ভালোবাসাবাসি Read More »

আর এক আরম্ভের জন্যে

আর এক আরম্ভের জন্যে -অরুণ মিত্র আমি বিষের পাত্র ঠেলে দিয়েছি তুমি প্রসন্ন হও। আমি হাসি আর কান্নার পেছনে আমার প্রথম স্বপ্নকে ছুঁয়েছি তুমি প্রসন্ন হও। আমি অরণ্যের কাছে গিয়ে ঘাসের ফুলের উপর নত হয়েছি অবাক হয়ে পুবের দিকে তাকিয়েছি অবাক হ’য়ে ঝর্ণায় সোনার রং দেখেছি আমার আশ্চর্য হওয়ার উপহার তুলে ধরেছি তুমি প্রসন্ন হও।

আর এক আরম্ভের জন্যে Read More »

বাসে

বাসে -অরুণ মিত্র সব আশ্চর্য বিষয় থেকে আমি সরে আসি সরে আসতে বাধ্য হই। কারণ? সে তো এক অনন্ত সংখ্যা, আপাতত দুটোই প্রত্যক্ষ; একটা বাজারের খোকাথলি আমা এক হাত আঁকড়ে, আরেকটা বাসের হাতল হয়ে আমার অন্য হাতে ধরা। খোকা যদি হাতে পিছলে পড়ে যায়, সর্বনাশ; ঈড়া পিঙ্গলা সুষুম্না এবং তাদের ছোট ছোট ভাইবোনেরা ডুকরে উঠবে,

বাসে Read More »

স্বপ্ন দেখায়

স্বপ্ন দেখায় -অরুণ মিত্র আকাশে কোনোই আড়ম্বর নেই তবু এই মুহুর্তটা পেখম তুলে নাচে গুমট ভেঙ্গে ঠান্ডা হাওয়া ছড়ায়। বাহবা তো দিতেই হয় কেন না এই কুহক ধুসর পর্দা চিরে ফ্যালে মরুভুমি পার হুওয়ার সুর লাগায়। আকাশ যেখানে টাল খেয়েছে সেখানে না দেখা যা্য দিন না কোনো আলো তবু সামনে এ কি বাহার রঙ্গীন মেলা

স্বপ্ন দেখায় Read More »

সময়

সময় -অরুণ মিত্র সময়কে নিয়ে অনেক মজা দেখা গেল। কখনও তাকে ইন্দ্রধনুর রঙে রাঙানো হল, কখনও হাসিতে উছলে তোলা হল বা চাপা কান্নায় কাঁপানো হল, কখনও-বা তাকে হৃদয়ে হৃদয়ে বাজানো হল। সৌরভ বিষাদের আভা কৌতুক উজ্জ্বল পথ ধ্যানের সুষমা ধূপছায়া, কত রকম। চোখ নাক কান খুলেই রাখো, বোধহয় দৃশ্যের চূড়ান্তে আসা গেছে। এবার সময়ের গলায়

সময় Read More »

Verified by MonsterInsights