আবিদ আনোয়ার

আমি কার খালু

আমি কার খালু -আবিদ আনোয়ার ধীরে ধীরে হাট ভাঙছে, অন্ধকার টেনে ধরছে দিগন্তের ফিকে লালসালু– ডেকেছি বিস্তর তবু কেউ এসে বলে নাই আমি কার খালু! উল্লোল বাজারি শব্দে ডুবে গেছে হার্দ্য এই ডাক, বিপণি বিতান থেকে মাছের মহাল, মায় অন্ধগলি ঘুরেছি বেবাক; কানফাটা শোরগোলেও কেউ কিছু ভোলে নাই কার কী ভূমিকা: লাভ বুঝে দর হাঁকে …

আমি কার খালু Read More »

১৪০০ সাল

১৪০০ সাল -আবিদ আনোয়ার আজ ভোরে সূর্য নয় দিগন্ত রাঙালো নিজে রবীন্দ্র ঠাকুর: শ্মশ্রুময় দেবকান্তি, অমিতাভ চিবুকের নূর ছড়ালো রৌদ্রের মতো যেন এই অপ্রাকৃত আকাশের নীল লক্ষকোটি জাগর জোনাকি নিয়ে করে ঝিলমিল! প্রশ্নচিহ্ন হয়ে জ্বলে চেতনার গভীর ভেতরে– “কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি কৌতূহল ভরে?” দিগন্তে তাকিয়ে দেখি ফ্যালফ্যাল চেয়ে আছে মহান কাঙাল– কেঁপে …

১৪০০ সাল Read More »

নূহ নবীর কাছে একটি সওয়াল

নূহ নবীর কাছে একটি সওয়াল -আবিদ আনোয়ার আপনিও আল্লা’র নবী, মানব কল্যাণহেতু প্রেরিত পুরুষ– যতক্ষণ এই দেহে প্রাণ আছে, না-হারাই হুঁশ আপনার মর্যাদাহানি করতে পারি নই আমি তেমন মুরতাদ, একটি শুধু সওয়ালের জওয়াব জানতে জাগে বড়ো সাধ। এজতেহাদে সত্য মিলে বলেছেন স্বয়ং মা’বুদ– রুহের কন্দর থেকে অহরহ ওঠে তাই প্রশ্নের বুদবুদ। সেই কবে পৃথিবীতে এসেছিলো …

নূহ নবীর কাছে একটি সওয়াল Read More »

জৈবনিকতা

জৈবনিকতা -আবিদ আনোয়ার অনেক দেখেছি পাঁকাল-বিলাসী কাদাজলে রাজহাঁস, মসৃণ পাখা রেশমখচিত ছোঁয় না পঙ্কিলতা! অথবা আমার বালকবেলার মোহময়ী মেথরানী রূপের ছটায় ভুলে গেছি তার গুয়ের রাজ্যে বাস। পট্টি যখন বাঙলা মদের উৎসবে গোলজার সে তখন ছিলো পট্টরানীর আসনে অধিষ্ঠিত― ঘাগড়ায়-লাগা শুদ্র অথবা ভদ্রপাড়ার মল; “লছমী নাকি রে!” কুশল শুধাতো তবু খোদ জমিদার। কাদায় পদ্ম, চাঁদে …

জৈবনিকতা Read More »

বিচূর্ণিভূত স্বপ্নের ছাই

বিচূর্ণিভূত স্বপ্নের ছাই -আবিদ আনোয়ার কী করে বলবো ভুলে গেছি সব সঞ্চয়ে আর স্মৃতির কণাও নাই– এখনও তো এই ধূসর মগজে বিচূর্ণিভূত স্বপ্নের ছাই ঝড় তোলে প্রতিদিন। ভেবে খুব হাসি পায়: নাগিনীর গ্রাসে অর্ধবিলীন ব্যাঙ যেন আমি কেউ আর্দ্র করুণ অন্তিম ডাকে জীবনকে ভেংচাই। মরণের আগে এমনি ক’দিন বাঁকা হেসেছিলো অমলের বউ গভীর নিশীথে ডাক …

বিচূর্ণিভূত স্বপ্নের ছাই Read More »

সমগ্র কোথায় তুমি?

সমগ্র কোথায় তুমি? -আবিদ আনোয়ার সমগ্র কোথায় তুমি? আর্তস্বরে ডাকি যতবার দূর থেকে সাড়া দেয় অতীন্দ্রিয় কে এক আঁধার! খণ্ডের যোগফল থেকে বহুদূরে সমগ্রের বাড়ি জেনেও খণ্ডাংশগুলো জোড়া দিই যতটুকু পারি। প্রতিটি গন্তব্য তার কিছু চিহ্ন এঁকে রাখে পথের ওপর, হিজিবিজি সেইসব জটিল জ্যামিতি থেকে সমগ্রের ঘর খুঁজতে গিয়ে মনে হলো আমি এক সদ্যোজাত শিশুর …

সমগ্র কোথায় তুমি? Read More »

ডুবে যেতে যেতে

ডুবে যেতে যেতে -আবিদ আনোয়ার জলমগ্ন বাঙলাদেশ: নাকি এক ল্যাগব্যাগে তরল ড্রাগন হিমালয় থেকে নেমে গিলেছে শস্যের মাঠ, বন-উপবন; নিঝুম দ্বীপের মতো ভাসমান শুধু কিছু ক্লিন্ন লোকালয় তাকেও জুজুর মতো লেলিহান জিহ্বা নেড়ে সে দেখায় ভয়, তবুও জীবনছন্দে মুখরিত ব্যস্ত জনপদ উজিয়ে সকল বাধা, পায়ে-পায়ে সমূহ বিপদ যে-যার কর্তব্যে যায়; অজানা আতঙ্কে কাঁপে দুরু দুরু …

ডুবে যেতে যেতে Read More »

প্রত্নরমণী

প্রত্নরমণী -আবিদ আনোয়ার তোমাকে দেখেনি মধ্যযুগের নিপুণ পটুয়া,           অজন্তা কিবা ইলোরার ভাস্কর– তাহলে দেখতে শত ক্যানভাসে, ব্রোঞ্জে-পিতলে কষ্টিপাথরে, টেরাকোটা-কাঠ-সোনার পুতুলে তুমি সাজিয়েছো পুরাকীর্তির সবগুলো যাদুঘর! কৃষ্ণের পাশে যে আছে দাঁড়িয়ে                 যৌবনবতী পাথুরে-স্তনের নারী লজ্জায় ভেঙে খান খান হবে তুমি যদি শুধু একটু সাহসে জোড়ামূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে                    খুলে ফেলো এই শাড়ি! তোমাকে মানাতো …

প্রত্নরমণী Read More »

ঘোর কেটে গেলে

ঘোর কেটে গেলে -আবিদ আনোয়ার হয়তো এখনও আছি অর্ধস্ফুট গোলাপের মতো– বোঝেনি শরীর-সত্তা কাকে বলে পূর্ণ জাগরণ; দরিদ্র ইন্দ্রিয়গুলো  চিনেছে যে বস্তুবাস্তবতা কখনও জাগ্রত হলে চিনে নিতো আরেক জীবন। যদি এ-রহস্যমালা কোনোদিন এই গূঢ় অন্তর্বাস খোলে হয়তো দেখবো কিছু বর্গক্ষেত্র ঢুকে বসে আছে অসংগত পৃথিবীর বেমক্কা বর্তুলে: প্রকৃত রাজার কাঁধে গোলামের তকমা তুলে দিয়ে গোলাম …

ঘোর কেটে গেলে Read More »

কোলাজ

কোলাজ -আবিদ আনোয়ার নীলের ডোরাকাটা সবুজ মাছরাঙা গেঁথেছে লাল ঠোঁটে রুপালি মৌরলা বেরুবে ছাইরঙা গলিত বিষ্ঠায় তবু সে নিয়তিকে লেজের চাঁটি মারে অপার নিষ্ঠায়                     জানালা খুলে ব’সে প্রায়শ রাতে দেখি                     আকাশে দল বেঁধে মেঘেরা খেলা করে                     হা-করা কালো তিমি চাঁদকে গিলে খায়                     আঁধার পেট ফুঁড়ে তবুও প্রাণপণে                     জোছনা ঝলকায় নিবিড় …

কোলাজ Read More »

Verified by MonsterInsights