রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা দুই বিঘা জমি পুরাতন বৎসরের জীর্ণক্লান্ত রাত্রি যৌবন রে, তুই কি রবি সুখের খাঁচাতে ভাবনা নিয়ে মরিস কেন খেপে তোমারে কি বারবার করেছিনু অপমান সন্ধ্যারাগে ঝিলিমিলি ঝিলমের স্রোতখানি বাঁকা যে-কথা বলিতে চাই এইক্ষণে যেদিন উদিলে তুমি, বিশ্বকবি, দূর সিন্ধুপারে সর্বদেহের ব্যাকুলতা কী বলতে চায় বাণী আজ প্রভাতের আকাশটি এই দূর হতে কী শুনিস মৃত্যুর গর্জন, ওরে দীন আমার মনের জানলাটি আজ হঠাৎ গেল খুলে জানি আমার পায়ের শব্দ রাত্রে দিনে শুনতে তুমি পাও আজ এই দিনের শেষে নিত্য তোমার পায়ের কাছে এই দেহটির ভেলা নিয়ে দিয়েছি সাঁতার গো যেদিন তুমি আপনি ছিলে একা পাখিরে দিয়েছ গান, গায় সেই গান আমার কাছে রাজা আমার রইল অজানা এবারে ফাল্গুনের দিনে সিন্ধুতীরের কুঞ্জবীথিকায় যে-বসন্ত একদিন করেছিল কত কোলাহল স্বর্গ কোথায় জানিস কি তা ভাই কোন্ ক্ষণে যখন আমায় হাতে ধরে ওরে তোদের ত্বর সহে না আর? আনন্দ-গান উঠুক তবে বাজি আমি যে বেসেছি ভালো এই জগতেরে যতক্ষণ স্থির হয়ে থাকি হে ভুবন বিশ্বের বিপুল বস্তুরাশি মোর গান এরা সব শৈবালের দল কত লক্ষ বরষের তপস্যার ফলে পউষের পাতা-ঝরা তপোবনে তুমি দেবে, তুমি মোরে দেবে হে মোর সুন্দর হে প্রিয়, আজি এ প্রাতে কে তোমারে দিল প্রাণ হে বিরাট নদী এ কথা জানিতে তুমি, ভারত-ঈশ্বর শা-জাহান তুমি কি কেবল ছবি শুধু পটে লিখা মত্ত সাগর দিল পাড়ি গহন রাত্রিকালে তোমার শঙ্খ ধুলায় প'ড়ে আমরা চলি সমুখপানে এবার যে ওই এল সর্বনেশে গো ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা উৎসর্গ নিরুদ্দেশ যাত্রা কণ্টকের কথা