নির্মলেন্দু গুণ

দাসবংশ

দাসবংশ -নির্মলেন্দু গুণ কোনো কাজকর্ম তো নাই, খাচ্ছেন দাচ্ছেন, আর যখন যা চাচ্ছেন হাতের কাছে তাই পেয়ে যাচ্ছেন। স্প্যানিশ অলিভ অয়েল মালিশ করে পালিশ করছেন বেগম সাহেবার পাছা, আর নিজের বীচির চামড়া। আর আমরা আমাগো হুগায় মাখছি ভেরেণ্ডার তেল। আপনগো দিন যায় মহানন্দে, ভিসিআরে, টিভির পর্দায়। আমরা মাঠের লোক, বস্তিবাসী, পথের মানুষ, মেধাহীন কৃমিকীট আর পোকামাকড়ের মতো আপনাগো নেতৃত্বের  আকাশছোঁয়া দালানের আন্ডারগ্রাউন্ড ফাউন্ডেশনটাকে […]

দাসবংশ Read More »

এবারই প্রথম তুমি

এবারই প্রথম তুমি -নির্মলেন্দু গুণ ভুলে যাও তুমি পূর্বেও ছিলেমনে করো এই বিশ্ব নিখিলেএবারই প্রথম তুমি৷ এর আগে তুমি কোথাও ছিলে নাছিলে না আকাশে, নদী জলে ঘাসেছিলে না পাথরে ঝর্ণার পাশে৷এবারই প্রথম তুমি৷ এর আগে তুমি কিছুতে ছিলে না৷ফুলেও ছিলে না, ফলেও ছিলে নানাকে মুখে চোখে চুলেও ছিলে না৷এবারই প্রথম তুমি৷ এর আগে তুমি এখানে ছিলে নাএর আগে

এবারই প্রথম তুমি Read More »

যাত্রা-ভঙ্গ

যাত্রা-ভঙ্গ -নির্মলেন্দু গুণ হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে,মন বাড়িয়ে ছুঁই,দুইকে আমি এক করি নাএক কে করি দুই৷ হেমের মাঝে শুই না যবে,প্রেমের মাঝে শুইতুই কেমন করে যাবি?পা বাড়ালেই পায়ের ছায়াআমাকেই তুই পাবি৷ তবুও তুই বলিস যদি যাই,দেখবি তোর সমুখে পথ নাই৷ তখন আমি একটু ছোঁব,হাত বাড়িয়ে জাড়াব তোরবিদায় দুটি পায়ে,তুই উঠবি আমার নায়ে,আমার বৈতরনী নায়ে৷ নায়ের মাঝে বসব বটে,না-এর

যাত্রা-ভঙ্গ Read More »

ওটা কিছু নয়

ওটা কিছু নয় -নির্মলেন্দু গুণ এইবার হাত দাও, টের পাচ্ছো আমার অস্তিত্ব ? পাচ্ছো না ?একটু দাঁড়াও আমি তৈরী হয়ে নিই ।এইবার হাত দাও, টের পাচ্ছো আমার অস্তিত্ব ? পাচ্ছো না ?তেমার জন্মান্ধ চোখে শুধু ভুল অন্ধকার । ওটা নয়, ওটা চুল ।এই হলো আমার আঙ্গুল, এইবার স্পর্শ করো,–না, না, না,-ওটা নয়, ওটা কন্ঠনালী, গরলবিশ্বাসী

ওটা কিছু নয় Read More »

স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো

স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো -নির্মলেন্দু গুণ একটি কবিতা লেখা হবে তার জন্য অপেক্ষার উত্তেজনা নিয়েলক্ষ লক্ষ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল বিদ্রোহী শ্রোতা বসে আছেভোর থেকে জনসমুদ্রের উদ্যান সৈকতে: ‘কখন আসবে কবি?’ এই শিশু পার্ক সেদিন ছিল না,এই বৃক্ষে ফুলে শোভিত উদ্যান সেদিন ছিল না,এই তন্দ্রাচ্ছন্ন বিবর্ণ বিকেল সেদিন ছিল না৷তা হলে কেমন ছিল সেদিনের সেই

স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো Read More »

উপেক্ষা

উপেক্ষা -নির্মলেন্দু গুণ অনন্ত বিরহ চাই, ভালোবেসে কার্পণ্য শিখিনি৷তোমার উপেক্ষা পেলে অনায়াসে ভুলে যেতে পারিসমস্ত বোধের উত্স গ্রাস করা প্রেম; যদি চাওভুলে যাবো, তুমি শুধু কাছে এসে উপেক্ষা দেখাও৷ আমি কি ডরাই সখি, ভালোবাসা ভিখারি বিরহে?

উপেক্ষা Read More »

নাস্তিক

নাস্তিক -নির্মলেন্দু গুণ নেই স্বর্গলোভ কিংবা কল্প-নরকের ভয়,অলীক সাফল্যমুক্ত কর্মময় পৃথিবী আমার৷ চর্মচোখে যা যা দেখি, শারীরিক ইন্দ্রিয় যা ধরে,তাকেই গ্রহন করি৷ জানি, নিরাকার অপ্রত্যক্ষশুধুই ছলনা, বিশ্বাস করি না ভাগ্যে, দেবতার বরে৷ আমার জগত্ মুগ্ধ বাস্তবের বস্তুপুঞ্জে ঠাসা,তাই সে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য, অতীন্দ্রিয় নয়৷অন্ধতার বধ্যভূমি আমার হদৃয়৷ সেই শ্রেষ্ঠ মানব-সন্তান, যার মন মুক্ত ভগবান৷আমার মস্তক নিত্য নত সেই নাস্তিকের তরে৷

নাস্তিক Read More »

আমার জন্ম

আমার জন্ম -নির্মলেন্দু গুণ তপ শেষে যখন বাল্মীকি তাঁর মুদিত নয়নখুলিলেন, দেখিলেন লব নেই; চোখের সমুখেদিগন্তবিস্তৃত ধু-ধু শূন্য তপোবন প’ড়ে আছে৷‘কোথা লব, কোথা লব? ফিরে আয়৷’ ডাকিলেন মুনি,ফিরে এলো প্রতিধ্বনি, শিশু লব দিলো না উত্তর৷এ কোন্ বিধির লীলা, ভাবিলেন চিন্তক্লীষ্ট মুনি:‘শুন্য হাতে কী মুখে যাইব আজ সেই পূণ্যাশ্রমে,– যেখানে অকল্পনীয় লব-হীন সীতার জীবন৷’ যোগসিদ্ধ ঋষি তিনি,

আমার জন্ম Read More »

মানুষ

মানুষ -নির্মলেন্দু গুণ আমি হয়তো মানুষ নই, মানুষগুলো অন্যরকম,হাঁটতে পারে, বসতে পারে, এ-ঘর থেকে ও-ঘরে যায়,মানুষগুলো অন্যরকম, সাপে কাটলে দৌড়ে পালায় । আমি হয়তো মানুষ নই, সারাটা দিন দাঁড়িয়ে থাকি,গাছের মতো দাঁড়িয়ে থাকি।সাপে কাটলে টের পাই না, সিনেমা দেখে গান গাই না,অনেকদিন বরফমাখা জল খাই না ।কী করে তাও বেঁচে থাকছি, ছবি আঁকছি,সকালবেলা, দুপুরবেলা অবাক করেসারাটা

মানুষ Read More »

Verified by MonsterInsights