ছেঁড়া পাতা

কবিতার পাতায় হৃদয়ের শব্দ

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

মৃত্যুদণ্ড

মৃত্যুদণ্ড -সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় একটা চিল ডেকে উঠলো দুপুর বেলাবেজে উঠলো, বিদায়,চতুর্দিকে প্রতিধ্বনি, বিদায়বিদায়, বিদায়!ট্রামলাইনে রৌদ্র জ্বলে, গাছের ছায়ায় দাঁড়িয়েছিলাম আমিহঠাৎ যেন এই পৃথিবী ডেকে দেখালো আমায়কাঁটা-বেধাঁনো নগ্ন একটি বুক;রূপ গেল সব রূপান্তরে আকাশ হল স্মৃতিঘুমের মধ্যে ঘুমন্ত এক চোখের রশ্মি দেখেঅন্ধকারে মুখ লুকালো একটি অন্ধকার। হঠাৎ যেন বাতাস মেঘ রৌদ্র বৃষ্টি এবংগলির মোড়ের ঐ বাড়িটা, একটি-দুটি […]

মৃত্যুদণ্ড Read More »

রাখাল

রাখাল -সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় লাল ও সবুজ আলোর মধ্যে অন্তকালআমি ডাইনে তাকাই পিছনে ফিরে অন্ধকার গলিতেঅনন্তকাল পিছনে নয়, ডাকদিকে নয়, সবুজ ও লাল-সুখের মতো ভূবিস্তৃত, ঊরুদ্বয়ে শোকের মতো, দৃষ্টি থেকে ঘুমের মতোপেরিয়ে যাই, কুসুম এবং ফলের কাছে বীজের মতোদীক্ষা নিতে,মৃত্যু থেকে সঙ্গোপনে শুন্য ঘরে, দ্রাক্ষাবনেরছঅই বাতাস, জ্ঞানী মাথার খুলী, নদীর ভাঙ্গা পাড়ের শুকনো পাতা-পেরিয়ে যাই মাঝরাতের

রাখাল Read More »

শব্দ ২

শব্দ ২ -সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় আমায় অনুসরণ করে আঠাশ বছর পেরিয়ে আসা শব্দযেন তাকায় অতিকুসীদ, যেন হরণ দাবি করেযেন আমার বুকের মধ্যে তুঁত পোকার মতো নড়েঅনুসরণ অনুসরণ শব্দ শব্দ ওঁ শব্দ অতিক্ষিদেয় খেয়েছিলাম সাতশো বিবেক, শব্দ বললো, ‘আমি আছি’শব্দ আমায় ট্রাম ভাড়া দেয়, বায়োস্কোপে টিকিট কাটেখুনের রক্তে চোখ ভেসে যায়, দৈবে ঘুরি ঘোর ললাটেঅন্ধকারে মুখ দেখি না

শব্দ ২ Read More »

শুধু কবিতার জন্য

শুধু কবিতার জন্য -সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় শুধু কবিতার জন্য এই জন্ম, শুধু কবিতারজন্য কিছু খেলা, শুধু কবিতার জন্য একা হিম সন্ধেবেলাভুবন পেরিয়ে আসা, শুধু কবিতার জন্যঅপলক মুখশ্রীর শান্তি একঝলক;শুধু কবিতার জন্য তুমি নারী, শুধুকবিতার জন্য এতো রক্তপাত, মেঘে গাঙ্গেয় প্রপাতশুধু কবিতার জন্য, আরো দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে লোভ হয়।মানুষের মতো ক্ষোভময় বেঁচে থাকা, শুধুকবিতার জন্য আমি অমরত্ব

শুধু কবিতার জন্য Read More »

সকল ছন্দের মধ্যে আমিই গায়ত্রী

সকল ছন্দের মধ্যে আমিই গায়ত্রী -সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ছিলাম বাসনা-লঘু, ছন্দ এসে আমাকে সুসি’র হতে বলেপ্রিয় বয়স্যের মতো তার দন্তপঙ্‌ক্তিআমি তাকে দূর হয়ে যেতে বলি নতুন বন্ধুর খোঁজেআমি ছন্দহীন হতে হতে ক্রমশ ধর্মদ্রোহী আগোপনপাষন্ড হয়ে যাই।তবু সে দরজার কাছে মুখ চুন, আমি তাকে পালঙ্কের নিচ থেকেজুতো মুখে করে আনতে হুকুম করেছি!দ্বিধা নেই, সে এনেছে, সমালোচকের কানে

সকল ছন্দের মধ্যে আমিই গায়ত্রী Read More »

সাবধান

সাবধান -সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় আমি সেই মানুষ, আমাকে চেয়ে দ্যাখোআমি ফিরে এসেছিআমার কপালে রক্ত;বাষ্প-জমা গলায় বাস-ওল্টানো ভাঙা রাস্তা দিয়েফিরে এলাম-আমি মাছহীন ভাতের থালার সামনে বসেছিআমি দাঁড়িয়েছি চালের দোকানের লাইনেআমার চুলে ভেজাল তেলের গন্ধআমার নিশ্বাস-। রাস্তায় একটা বাচ্চা ছেলে বমি করলোআমি ওর মৃত্যুর জন্য দায়ী-পিছনের দরজায় বস্তাভর্তি টাকা ঘুষ নিচ্ছিল যে লোকটাআমি তার হত্যার জন্য দায়ী-আমি পুলিশের বোকামি

সাবধান Read More »

স্বপ্ন, একুশে ভাদ্র

স্বপ্ন, একুশে ভাদ্র -সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কোন্‌ দিকে? কোন্‌ দিকে? আমি চিৎকার করলামঅমনি ভিড়ের ভিতরেএকটা মোহর এসে ছিট্‌কে পড়লো। তৎক্ষণাৎ নৈঋত বাদ দিয়েসাতদিকে সাতটা রাস্তা খুলে গেল জ্যোৎস্নায়বড় চিত্তহারী সেই পথগুলি এবং জ্যোৎস্নায়ভিড়ের প্রতিটি টুকরো শত শত হুইস্‌ল বাজিলে ছুটে গেলব্যক্তিগত পথে পথে। কোন্‌ দিকে? কোন্‌ দিকে?আমি তীব্র ধাবমানকয়েকটি কলার চেপে হেঁকে উঠি, কী-করে জানলেন এইটা

স্বপ্ন, একুশে ভাদ্র Read More »

হঠাৎ নীরার জন্য

হঠাৎ নীরার জন্য -সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বাস স্টপে দেখা হলো তিন মিনিট, অথচ তোমায় কাল                                   স্বপ্নে বহুক্ষণদেখেছি ছুরির মতো বিঁধে থাকতে সিন্ধুপারে–দিকচিহ্নহীন–বাহান্ন তীর্থের মতো এক শরীর, হাওয়ার ভিতরেতোমাকে দেখছি কাল স্বপ্নে, নীরা, ওষধি স্বপ্নেরনীল দুঃসময়ে। দক্ষিণ সমুদ্রদ্বারে গিয়েছিলে কবে, কার সঙ্গে?

হঠাৎ নীরার জন্য Read More »

হিমযুগ

হিমযুগ -সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় শরীরের যুদ্ধ থেকে বহুদূর চলে গিয়ে ফিরে আসি শরীরের কাছেকথা দিয়েছিলে তুমি উদাসীন সঙ্গম শেখাবে-শিশিরে ধুয়েছো বুক, কোমল জ্যোঃস্নার মতো যোনিমধুকূপী ঘাসের মতন রোম, কিছুটা খয়েরিকথা দিয়েছিলে তুমি উদাসীন সঙ্গম শেখাবে- আমার নিশ্বাস পড়ে দ্রুত, বড়ো ঘাম হয়, মুখে আসে স’তিকথা দিয়েছিলে তুমি উদাসীন সঙ্গম শেখাবে।নয় ক্রুদ্ধ যুদ্ধ, ঠোঁটে রক্ত, জঙ্ঘার উত্থান, নয়

হিমযুগ Read More »

Verified by MonsterInsights