রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আমার কাছে রাজা আমার রইল অজানা -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমার কাছে রাজা আমার রইল অজানা।          তাই সে যখন তলব করে খাজানা     মনে করি পালিয়ে গিয়ে দেব তারে ফাঁকি,              রাখব দেনা বাকি।     যেখানেতেই পালাই আমি গোপনে     দিনে কাজের আড়ালেতে, রাতে স্বপনে,        […]

পাখিরে দিয়েছ গান, গায় সেই গান -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পাখিরে দিয়েছ গান, গায় সেই গান,          তার বেশি করে না সে দান।     আমারে দিয়েছ স্বর, আমি তার বেশি করি দান,          আমি গাই গান।      বাতাসেরে করেছ স্বাধীন,     সহজে সে ভৃত্য তব বন্ধনবিহীন।          আমারে

যেদিন তুমি আপনি ছিলে একা -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেদিন তুমি আপনি ছিলে একা          আপনাকে তো হয় নি তোমার দেখা।     সেদিন কোথাও কারো লাগি ছিল না পথ-চাওয়া;          এপার হতে ওপার বেয়ে              বয় নি ধেয়ে     কাঁদন-ভরা বাঁধন-ছেঁড়া হাওয়া।          

এই দেহটির ভেলা নিয়ে দিয়েছি সাঁতার গো -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই দেহটির ভেলা নিয়ে দিয়েছি সাঁতার গো,     এই দু-দিনের নদী হব পার গো।   তার পরে যেই ফুরিয়ে যাবে বেলা,          ভাসিয়ে দেব ভেলা,তার পরে তার খবর কী যে ধারি নে তার ধার গো,তার পরে সে কেমন আলো, কেমন অন্ধকার গো। আমি যে অজানার

নিত্য তোমার পায়ের কাছে -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিত্য তোমার পায়ের কাছে          তোমার বিশ্ব তোমার আছে              কোনোখানে অভাব কিছু নাই।          পূর্ণ তুমি, তাই     তোমার ধনে মানে তোমার আনন্দ না ঠেকে।              তাই তো একে একে     যা-কিছু

আজ এই দিনের শেষে -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আজ এই দিনের শেষেসন্ধ্যা যে ওই মানিকখানি পরেছিল চিকন কালো কেশে          গেঁথে নিলেম তারেএই তো আমার বিনিসুতার গোপন গলার হারে।     চক্রবাকের নিদ্রানীরব বিজন পদ্মাতীরে     এই সে সন্ধ্যা ছুঁইয়ে গেল আমার নতশিরে              নির্মাল্য তোমার         

জানি আমার পায়ের শব্দ রাত্রে দিনে শুনতে তুমি পাও -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জানি আমার পায়ের শব্দ রাত্রে দিনে শুনতে তুমি পাও,          খুশি হয়ে পথের পানে চাও।     খুশি তোমার ফুটে ওঠে শরৎ-আকাশে              অরুণ-আভাসে।     খুশি তোমার ফাগুনবনে আকুল হয়ে পড়ে             

আমার মনের জানলাটি আজ হঠাৎ গেল খুলে – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমার মনের জানলাটি আজ হঠাৎ গেল খুলে          তোমার মনের দিকে।সকালবেলার আলোয় আমি সকল কর্ম ভুলে          রইনু অনিমিখে।           দেখতে পেলেম তুমি মোরে          সদাই ডাক যে-নাম ধ’রে     সে-নামটি এই চৈত্রমাসের

আজ প্রভাতের আকাশটি এই -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আজ প্রভাতের আকাশটি এই                            শিশির-ছলছল,          নদীর ধারের ঝাউগুলি ওই                            রৌদ্রে ঝলমল,                 

সন্ধ্যারাগে ঝিলিমিলি ঝিলমের স্রোতখানি বাঁকা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সন্ধ্যারাগে ঝিলিমিলি ঝিলমের স্রোতখানি বাঁকা     আঁধারে মলিন হল–যেন খাপে-ঢাকা              বাঁকা তলোয়ার;     দিনের ভাঁটার শেষে রাত্রির জোয়ারএল তার ভেসে-আসা তারাফুল নিয়ে কালো জলে;              অন্ধকার গিরিতটতলে