সুকুমার রায়

আশ্চর্য কবিতা

আশ্চর্য কবিতা -সুকুমার রায় চণ্ডীপুরের ইংরাজি স্কুলে আমাদের ক্লাশে একটি নূতন ছাত্র আসিয়াছে। তার বয়স বারো-চোদ্দোর বেশি নয়। সে স্কুলে আসিয়া প্রথম দিনই সকলকে জানাইল, “আমি পোইট্রি লিখতে পারি!” এ কথা শুনিয়া ক্লাশসুদ্ধ সকলে অবাক হইয়া গেল; কেবল দু-একজন হিংসা করিয়া বলিল, “আমরাও ছেলেবেলায় ঢের ঢের কবিতা লিখেছি।” নূতন ছাত্রটি বোধ হয় ভাবিয়াছিল, সে কবিতা …

আশ্চর্য কবিতা Read More »

আহ্লাদী

আহ্লাদী -সুকুমার রায় হাসছি মোরা হাসছি দেখ, হাসছি মোরা আহ্লাদী,তিন জনেতে জট্লা ক’রে ফোক্‌লা হাসির পাল্লা দি।হাসতে হাসতে আসছে দাদা ,আসছি আমি, আসছে ভাই,হাসছি কেন কেউ জানে না, পাচ্ছে হাসি হাসছি তাই।ভাবছি মনে, হাসছি কেন? থাকব হাসি ত্যাগ করে,ভাবতে গিয়ে ফিকফিকিয়ে ফেলছি হেসে ফ্যাক ক’রে ।পাচ্ছে হাসি চাপতে গিয়ে, পাচেছ হাসি চোখ বুজে,পাচ্ছে হাসি চিমটি …

আহ্লাদী Read More »

আড়ি

আড়ি -সুকুমার রায় কিসে কিসে ভাব নেই? ভক্ষক ও ভক্ষ্যে-বাঘে ছাগে মিল হলে আর নেই রক্ষে। শেয়ালের সাড়া পেলে কুকুরেরা তৈরি,সাপে আর নেউলে ত চিরকাল বৈরী! আদা আর কাঁচকলা মেলে কোনোদিন্ সে?কোকিলের ডাক শুনে কাক জ্বলে হিংসেয়। তেলে দেওয়া বেগুনের ঝগড়াটা দেখিনি?ছ্যাঁক্ ছ্যাঁক্ রাগ যেন খেতে আসে এখনি। তার চেয়ে বেশি আড়ি আমি পারি কহিতে-তোমাদের কারো কারো, কেতাবের সহিতে।

আয়রে আলো আয়

আয়রে আলো আয় -সুকুমার রায় পুব গগনে রাত পোহাল, ভোরের কোণে লাজুক আলোনয়ন মেলে চায়।আকাশতলে ঝলক জ্বলে,মেঘের শিশু খোলার ছলেআলোক মাখে গায়।।সোনার আলো, রঙিন্ আলো,স্বপ্নে আঁকা নবীন আলো -আয়রে আলো আয়।আয়রে নেমে আঁধার পরে,পাষাণ কালো ধৌত করেআলোর ঝরণায়।।ঘুম ভাঙান পাখির তানেজাগ্‌রে আলো আকুল গানেঅকুল নীলিমায়।আলসভরা আখিঁর কোণে,দুঃখ ভয়ে আঁধার মনে,আয়রে আলো আয়।।

একুশে আইন

একুশে আইন -সুকুমার রায় শিবঠাকুরের আপন দেশে ,আইন কানুন সর্বনেশে!কেউ যদি যায় পিছলে প’ড়ে,প্যায়দা এসে পাক্‌‌ড়ে ধরে ,কাজির কাছে হয় বিচার-        একুশ টাকা দন্ড তার।।সেথায় সন্ধে ছটার আগেহাঁচতে হলে টিকিট লাগেহাঁচলে পরে বিন্ টিকিটেদম‌্দমাদম্ লাগায় পিঠে ,কোটাল এসে নস্যি ঝাড়ে-        একুশ দফা হাচিয়ে মারে।।কারুর যদি দাতটি নড়ে,চার্‌টি টাকা মাশুল …

একুশে আইন Read More »

ও বাবা !

ও বাবা ! -সুকুমার রায় পড়তে বসে মুখের পরে কাগজ খানি থুয়েরমেশ ভায়া ঘুমোয় পড়ে আরাম ক’রে শুয়ে।শুনছ নাকি ঘড়র্ ঘড়র্ নাক ডাকার ধুম?সখ যে বড় বেজায় দেখি- দিনের বেলায় ঘুম! বাতাস পোরা এই যে থলি দেখ্‌ছ আমার হাতে,দুড়ম করে পিট্‌লে পরে শব্দ হবে তাতে।রমেশ ভায়া আঁতকে উঠে পড়বে কুপোকাৎলাগাও তবে -ধুম ধাড়াক্কা! ক্যাবাৎ! ক্যাবাৎ! ও বাবারে! …

ও বাবা ! Read More »

 কত বড়

কত বড় -সুকুমার রায় ছোট্ট সে একরতি ইঁদুরের ছানা,ফোটে নাই চোখ তার, একেবারে কানা।ভাঙা এক দেরাজের ঝুলমাখা কোণেমার বুকে শুয়ে শুয়ে মার কথা শোনে। যেই তার চোখ ফোটে সেই দেখে চেয়ে-দেরাজের ভারি কাঠ চারিদিক ছেয়ে।চেয়ে বলে মেলি তার গোল গোল আঁখি-“ওরে বাবা! পৃথিবীটা এত বড় নাকি?”

কলিকাতা কোথা রে

কলিকাতা কোথা রে -সুকুমার রায় গিরিধি আরামপুরী, দেহ মন চিৎপাত,খেয়ে শুয়ে হু হু করে কেটে যায় দিনরাত;হৈ চৈ হাঙ্গামা হুড়োতাড়া হেথা নাই;মাস বার তারিখের কোন কিছু ল্যাঠা নেই;খিদে পেলে তেড়ে খাও, ঘুম পেলে ঘুমিও-মোট কথা, কি আরাম, বুঝলে না তুমিও !ভুলেই গেছিনু কোথা এই ধরা মাঝেতেআছে যে শহর এক কলকাতা নামেতে-হেন কালে চেয়ে দেখি চিঠি …

কলিকাতা কোথা রে Read More »

কহ ভাই কহ রে

কহ ভাই কহ রে -সুকুমার রায় কহ ভাই কহ রে, অ্যাঁকা চোরা শহরে, বদ্যিরা কেন কেউ আলুভাতে খায় না?লেখা আছে কাগজে আলু খেলে মগজেঘিলু যায় ভেস্তিয়ে বুদ্ধি গজায় না।

কাঁদুনে

কাঁদুনে -সুকুমার রায় ছিঁচ্ কাঁদুনে মিচ্‌কে যারা শস্তা কেঁদে নাম কেনে, ঘ্যাঙায় শুধু ঘ্যার্ন ঘ্যার্ন ঘ্যান্ঘ্যানে আর প্যান্‌প‌্যানে- কুঁকিয়ে কাঁদে খিদের সময়, ফুঁপিয়ে কাঁদে ধম্‌কালে, কিম্বা হঠাৎ লাগলে ব্যথা, কিম্বা ভয়ে চমকালে; অল্পে হাসে অল্পে কাঁদে কান্না থামায় অল্পেতেই , মায়ের আদর দুধের বোতল কিম্বা দিদির গল্পেতেই – তারেই বলি মিথ্যে কাঁদন; আসল কান্না শুন্‌বে …

কাঁদুনে Read More »

Verified by MonsterInsights