ছেঁড়া পাতা

কবিতার পাতায় হৃদয়ের শব্দ

মূর্খ মাছি

মূর্খ মাছি – সুকুমার রায় মাকড়সা                সান্‌-বাঁধা মোর আঙিনাতে                জাল বুনেছি কালকে রাতে,                ঝুল ঝেড়ে সব সাফ করেছি বাসা।                আয় না মাছি আমার ঘরে,                আরাম […]

মূর্খ মাছি Read More »

শিশুর দেহ

শিশুর দেহ – সুকুমার রায় চশমা-আঁটা পণ্ডিতে কয় শিশুর দেহ দেখে- “হাড়ের পরে মাংস দিয়ে, চামড়া দিয়ে ঢেকে, শিরার মাঝে রক্ত দিয়ে, ফুসফুসেতে বায়ু, বাঁধল দেহ সুঠাম করে পেশী এবং স্নায়ু।” কবি বলেন, “শিশুর মুখে হেরি তরুণ রবি, উৎসারিত আনন্দে তার জাগে জগৎ ছবি। হাসিতে তার চাঁদের আলো, পাখির কলকল, অশ্রুকণা ফুলের দলে শিশির ঢলঢল।” মা বলেন, “এই দুরুদুরু মোর বুকেরই বাণী, তারি গভীর

শিশুর দেহ Read More »

হুঁকোমুখো হ্যাংলা

হুঁকোমুখো হ্যাংলা – সুকুমার রায় হুঁকোমুখো হ্যাংলা বাড়ি তার বাংলা           মুখে তার হাসি নাই দেখেছ? নাই তার মানে কি?      কেউ তাহা জানে কি?           কেউ কভু তার কাছে থেকেছ? শ্যামাদাস মামা তার আফিঙের থানাদার,           আর তার কেহ নাই এ-ছাড়া – তাই বুঝি একা সে মুখখানা

হুঁকোমুখো হ্যাংলা Read More »

হরিষে বিষাদ

হরিষে বিষাদ – সুকুমার রায় দেখছে খোকা পঞ্জিকাতে এই বছরে কখন কবে ছুটির কত খবর লেখে, কিসের ছুটি কঁদিন হবে। ঈদ্ মহরম দোল্ দেওয়ালি বড়দিন আর বর্ষাশেষে- ভাবছে যত, ফুল্লমুখে ফুর্তিভরে ফেলছে হেসে এমন কালে নীল আকাশে হঠাৎ -খ্যাপা মেঘের মত, উথলে ছোটে কান্নাধারা ডুবিয়ে তাহার হর্য যত। “কি হল তোর?” সবাই বলে, “কলমটা কি বিঁধল হাতে? জিবে কি তোর দাঁত বসালি?

হরিষে বিষাদ Read More »

প্রিয়তমাসু

প্রিয়তমাসু – তারাপদ রায় অনেকদিন পর কাগজ-কলম নিয়ে বসে প্রথম একটা চাঁদের ছবি আঁকি, সঙ্গে কিছু মেঘ। তারপর যথেষ্ট হয়নি ভেবে গোটা তিনেক পাখি, ক্রমশ একটা দেবদারু ও কয়েকটা কলাগাছ, অবশেষে অনেকগুলি ছানাসহ একটা বেড়াল, এইসব এঁকে এঁকে তবুও কাগজের নীচে চার আঙুল জায়গা বাকি থাকে : সেখানে প্রথমে লিখি, শ্রীচরণেষু তার নীচে সবিনয় নিবেদন।

প্রিয়তমাসু Read More »

এখন

এখন – তারাপদ রায় মনে নেই, আমি নিজে ফিরে গিয়েছিলাম, অথবা তোমাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম, এখন আর কিছু মনে নেই, তবু দুঃখ হয় এখন, যখন একেকদিন খুব বৃষ্টি নেমে আসে এখন, যখন একেকদিন খুব শীতের বাতাস শুধু পাতা উড়িয়ে উড়িয়ে আমার চারদিকে বৃষ্টি ও ঠান্ডা বাতাস ঘুরে ঘুরে; এমন কি যখন সেই পুরনো কালের সাদা রোদ

এখন Read More »

দু-চার বছর

দু-চার বছর – তারাপদ রায় মাঝে মধ্যে দেখা হবে। মাঝে মধ্যে চোখের আড়ালে দু-চার বছর কিংবা ধরো সেই জীবনানন্দের জীবন গিয়েছে চলে কুড়ি কুড়ি বছরের পার ; এইভাবে ঝরা পাতা, হেমন্তের নরম বাতাস কিছু বৃষ্টি, কুয়াশা ও জল, কিংবা জলের মতন চলে যাবে দিন ও সময়, সময় ও ভালোবাসা। ভালোবাসা? হয়তো বা কোনোদিন তবুও যাবে

দু-চার বছর Read More »

ভুল

ভুল – তারাপদ রায় কোনটা যে চন্দ্রমল্লিকার ফুল আর কোনটা যে সূর্যমুখী – বারবার দেখেও আমার ভুল হয়ে যায়, আমি আলাদা করতে পারি না৷ ওলকপি এবং শালগম, মৃগেলের বাচ্চা এবং বাটামাছ, মানুষ এবং মানুষের মত মানুষ – বারবার দেখেও আমার ভুল হয়ে যায়, আমি আলাদা করতে পারি না৷ বই এবং পড়ার মত বই, স্বপ্ন এবং

ভুল Read More »

তিনি আমার ছায়া

তিনি আমার ছায়া – তারাপদ রায় আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখি। চুল আঁচড়াই,দাড়ি কামাই, কখনও নিজেকে ভাল করে দেখি, ফিসফিস করে নিজেকে জিজ্ঞাসা করি, ‘কেমন আছ, তারাপদ?’ কখনও কখনও নিজেকে বলি, ‘ছেষট্টি বছর বয়েস হল, যদি আর অর্ধেক জীবন বাঁচো, শতায়ু হবে।’ নিজের রসিকতায় নিজেই হাসি নিজে অর্থাৎ আমি নিজে এবং আয়নার নিজে। এইরকম ভাবে

তিনি আমার ছায়া Read More »

এখন ভাবনা

এখন ভাবনা – সুভাষ মুখোপাধ্যায় ১. এখন একটু চোখে চোখে রাখো- দিনগুলো ভারি দামালো; দেখো, যেন আমাদরে অসাবধানে এই দামালো দিনগুলো গড়াতে গড়াতে গড়াতে গড়াতে আগুনের মধ্যে না পড়ে। আমার ভালোবাসাগুলোকে নিয়েই আমার ভাবনা। এখন সেই বয়স, যখন দূরেরটা বিলক্ষণ স্পষ্ট– শুধু কাছেরটাই ঝাপসা দেখায়। এখন সেই বয়েস, যখন আচমকা মাটিতে প’ড়ে যেতে যেতে মনে

এখন ভাবনা Read More »

Verified by MonsterInsights