ছেঁড়া পাতা

কবিতার পাতায় হৃদয়ের শব্দ

অন্ধ বধূ

অন্ধ বধূ -যতীন্দ্রমোহন বাগচী পায়ের তলায় নরম ঠেকল কী!আস্তে একটু চলনা ঠাকুর-ঝি —ওমা, এ যে ঝরা-বকুল ! নয়?তাইত বলি, বদোরের পাশে,রাত্তিরে কাল — মধুমদির বাসেআকাশ-পাতাল — কতই মনে হয় ।জ্যৈষ্ঠ আসতে কদিন দেরি ভাই —আমের গায়ে বরণ দেখা যায় ?—অনেক দেরি? কেমন করে’ হবে !কোকিল-ডাকা শুনেছি সেই কবে,দখিন হাওয়া —বন্ধ কবে ভাই ;দীঘির ঘাটে নতুন […]

অন্ধ বধূ Read More »

১৯৪১ সাল

১৯৪১ সাল – সুকান্ত ভট্টাচার্য নীল সমুদ্রের ইশারা-অন্ধকারে ক্ষীণ আলোর ছোট ছোট দ্বীপ,আর সূর্যময় দিনের স্তব্ধতা;নিঃশব্দ দিনের সেই ভীরু অন্তঃশীলমত্ততাময় পদক্ষেপঃএ সবের ম্লান আধিপত্য বুঝি আরজীবনের ওপর কালের ব্যবচ্ছেদ-ভ্রষ্ট নয়তাই রক্তাক্ত পৃথিবীর ডাকঘর থেকেডাক এল-সভ্যতার ডাকনিষ্ঠুর ক্ষুদার্ত পরোয়ানাআমাকে চিহ্নিত ক’রে গেল।আমার একক পৃথিবীভেসে গেল জনতার প্রবল জোয়ারে।মনের স্বচ্ছতার ওপর বিরক্তির শ্যাওলাগভীরতা রচনা করে,আর শঙ্কিত মনের

১৯৪১ সাল Read More »

অসহ্য দিন

অসহ্য দিন – সুকান্ত ভট্টাচার্য অসহ্য দিন! স্নায়ু উদ্বেল। শ্লথ পায়ে ঘুরি ইতস্ততঅনেক দুঃখে রক্ত আমার অসংযত।মাঝে মাঝে যেন জ্বালা করে এক বিরাট ক্ষতহৃদয়গত।ব্যর্থতা বুকে, অক্ষম দেহ, বহু অভিযোগ আমার ঘাড়েদিন রাত শুধু চেতনা আমাকে নির্দয় হাতে চাবুক মারে।এখানে ওখানে, পথে চলতেও বিপদকে দেখি সমুদ্যত,মনে হয় যেন জীবনধারণ বুঝি খানিকটা অসঙ্গত।।

অসহ্য দিন Read More »

আগামী

আগামী – সুকান্ত ভট্টাচার্য জড় নই, মৃত নই, নই অন্ধকারের খনিজ,আমি তো জীবন্ত প্রাণ, আমি এক অঙ্কুরিত বীজ;মাটিতে লালিত ভীরু, শুদু আজ আকাশের ডাকেমেলেছি সন্দিগ্ধ চোখ, স্বপ্ন ঘিরে রয়েছে আমাকে।যদিও নগণ্য আমি, তুচ্ছ বটবৃক্ষের সমাজেতবু ক্ষুদ্র এ শরীরে গোপনে মর্মরধ্বনি বাজে,বিদীর্ণ করেছি মাটি, দেখেছি আলোর আনাগোনাশিকড়ে আমার তাই অরণ্যের বিশাল চেতনা।আজ শুধু অঙ্কুরিত, জানি কাল

আগামী Read More »

আগ্নেয়গিরি

আগ্নেয়গিরি – সুকান্ত ভট্টাচার্য কখনো হঠাৎ মনে হয়ঃআমি এক আগ্নেয় পাহাড়।শান্তির ছায়া-নিবিড় গুহায় নিদ্রিত সিংহের মতোচোখে আমার বহু দিনের তন্দ্রা।এক বিস্ফোরণ থেকে আর এক বিস্ফোরণের মাঝখানেআমাকে তোমরা বিদ্রূপে বিদ্ধ করেছ বারংবারআমি পাথরঃ আমি তা সহ্য করেছি। মুখে আমার মৃদু হাসি,বুকে আমার পুঞ্জীভূত ফুটন্ত লাভা।সিংহের মতো আধ-বোজা চোখে আমি কেবলি দেখছিঃমিথ্যার ভিতে কল্পনার মশলায় গড়া তোমাদের শহর,আমাকে

আগ্নেয়গিরি Read More »

আমি একা, বড়ো একা

আমি একা, বড়ো একা – শক্তি চট্টোপাধ্যায় চন্দনের ধূপ আমি কবে পুড়িয়েছিমনে নেই। মন আর স্মৃতিগুলি ধরে না আদরে।সংশ্লিষ্ট চন্দন এই অবহেলা সহ্য করে গেছে।কখনো বলেনি কিছু, বলেনি বলেই পরিত্রাণপেয়েছে সহজে, নয়তো অসহ্য কুঠারে ধ্বংস হতো। আমার সংহারমূর্তি দেখেছে চন্দন একদিনকিশোর বয়সে, সেই অভিপ্রেত সুকালে, সময়ে।দেখেছে এবং একা-একা ভয়ে-রহস্যে কেঁপেছে–বলেছে, আমার দুটি সুগন্ধি কৌটায় হাত রাখো,পায়ের

আমি একা, বড়ো একা Read More »

অবনী বাড়ি আছো

অবনী বাড়ি আছো – শক্তি চট্টোপাধ্যায় অবনী বাড়ি আছোঅবনী বাড়ি আছোদুয়ার এঁটে ঘুমিয়ে আছে পাড়াকেবল শুনি রাতের কড়ানাড়া‘অবনী বাড়ি আছো?’ বৃষ্টি পড়ে এখানে বারোমাসএখানে মেঘ গাভীর মতো চরেপরাঙ্মুখ সবুজ নালিঘাসদুয়ার চেপে ধরে–‘অবনী বাড়ি আছো?’ আধেকলীন হৃদয়ে দূরগামীব্যথার মাঝে ঘুমিয় পড়ি আমিসহসা শুনি রাতের কড়ানাড়া‘অবনী বাড়ি আছ?’

অবনী বাড়ি আছো Read More »

আমি যাই

আমি যাই – শক্তি চট্টোপাধ্যায় যেখানেই থাকো এপথে আসতেই হবেছাড়ান্ নেইসম্বল বলতে সেইদিন কয়েকের গল্পঅল্প অল্পইআমি যাইতোমরা পরে এসোঘড়ি-ঘন্টা মিলিয়েশাক-সবজি বিলিয়েতোমরা এসো

আমি যাই Read More »

এক অসুখে দুজন অন্ধ

এক অসুখে দুজন অন্ধ – শক্তি চট্টোপাধ্যায় আজ বাতাসের সঙ্গে ওঠে, সমুদ্র, তোর আমিষ গন্ধদীর্ঘ দাঁতের করাত ও ঢেউ নীল দিগন্ত সমান করেবালিতে আধ-কোমর বন্ধএই আনন্দময় কবরেআজ বাতাসের সঙ্গে ওঠে, সমুদ্র, তোর আমিষ গন্ধ । হাত দুখানি জড়ায় গলা, সাঁড়াশি সেই সোনার অধিকউজ্জ্বলতায় প্রখর কিন্তু উষ্ণ এবং রোমাঞ্চকরআলিঙ্গনের মধেযে আমার হৃদয় কি পায় পুচ্ছে শিকড়আঁকড়ে ধরে

এক অসুখে দুজন অন্ধ Read More »

এবার হয়েছে সন্ধ্যা

এবার হয়েছে সন্ধ্যা – শক্তি চট্টোপাধ্যায় এবার হয়েছে সন্ধ্যা। সারাদিন ভেঙেছো পাথরপাহাড়ের কোলেআষাঢ়ের বৃষ্টি শেষ হয়ে গেলো শালের জঙ্গলেতোমারও তো শ্রান্ত হলো মুঠিঅন্যায় হবে না – নাও ছুটিবিদেশেই চলোযে কথা বলনি আগে, এ-বছর সেই কথা বলো। শ্রাবনের মেঘ কি মন্থর!তোমার সর্বাঙ্গ জুড়ে জ্বরছলোছলোযে কথা বলনি আগে, এ-বছর সেই কথা বলো। এবার হয়েছে সন্ধ্যা, দিনের ব্যস্ততা গেছে চুকেনির্বাক

এবার হয়েছে সন্ধ্যা Read More »

Verified by MonsterInsights