বায়ু
বায়ু -বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১জন্ম মম সূর্য্য-তেজে, আকাশ মণ্ডলে। যথা ডাকে মেঘরাশি, হাসিয়া বিকট হাসি, বিজলি উজলে || কেবা মম সম বলে,হুহুঙ্কার করি যবে, নামি রণস্থলে। কানন ফেলি উপাড়ি, […]
বায়ু -বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১জন্ম মম সূর্য্য-তেজে, আকাশ মণ্ডলে। যথা ডাকে মেঘরাশি, হাসিয়া বিকট হাসি, বিজলি উজলে || কেবা মম সম বলে,হুহুঙ্কার করি যবে, নামি রণস্থলে। কানন ফেলি উপাড়ি, […]
আকবর শাহের খোষ রোজ -বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১ রাজপুরী মাঝে কি সুন্দর আজি।বসেছে বাজার, রসের ঠাট,রমণীতে বেচে রমণীতে কিনেলেগেছে রমণীরূপের হাট ||বিশালা সে পুরী নবমীর চাঁদ,লাখে লাখে দীপ উজলি জ্বলে।দোকানে দোকানে কুলবালাগণেখরিদদার ডাকে, হাসিয়া ছলে ||ফুলের তোরণ,
আকবর শাহের খোষ রোজ Read More »
মন এবং সুখ -বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১ এই মধুমাসে, মধুর বাতাসে,শোন লো মধুর বাঁশী।এই মধু বনে, শ্রীমধুসূদনে,দেখ লো সকলে আসি ||মধুর সে গায়, মধুর বাজায়,মধুর মধুর ভাষে।মধুর আদরে, মধুর অধরে,মধুর মধুর হাসে ||মধুর শ্যামল, বদন কমল,মধুর চাহনি তায়। ।কনক নূপুর, মধুকর যেন,মধুর বাজিছে পায় ||মধুর ইঙ্গিতে, আমার
জলে ফুলে -বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১ কে ভাসাল জলে তোরে কানন-সুন্দরী!বসিয়া পল্লবাসনে, ফুটেছিলে কোন্ বনেনাচিতে পবন সনে, কোন্ বৃক্ষোপরি?কে ছিঁড়িল শাখা হতে শাখার মঞ্জরী? ২ কে আনিল তোরে ফুল তরঙ্গিণী-তীরে?কাহার কুলের বালা, আনিয়া ফুলের ডালা,ফুলের আঙ্গুলে তুলে ফুল দিল নীরে?ফুল হতে ফুল খসি, জলে ভাসে ধীরে! ৩ ভাসিছে সলিলে যেন, আকাশেতে তারা।কিম্বা কাদম্বিনী-গায়,
ভাই ভাই -বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (সমবেত বাঙ্গালিদিগের সভা দেখিয়া) ১এক বঙ্গভূমে জনম সবার,এক বিদ্যালয়ে জ্ঞানের সঞ্চার,এক দুঃখে সবে করি হাহাকার, ভাই ভাই সবে, কাঁদ রে ভাই।এক শোকে শীর্ণ সবার শরীর,এক শোকে বয় নয়নের নীর,এক অপমানে সবে নতশির, অধম বাঙ্গালি মোরা সবাই || ২নাহি ইতিবৃত্ত
দুর্গোৎসব -বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় দুর্গোৎসব ১ বর্ষে বর্ষে এসো যাও এ বাঙ্গালা ধামেকে তুমি ষোড়শী কন্যা, মৃগেন্দ্রবাহিনি?চিনিয়াছি তোরে দুর্গে, তুমি নাকি ভব দুর্গে,দুর্গতির একমাত্র সংহারকারিণী ||মাটি দিয়ে গড়িয়াছি, কত গেল খড় কাছি,সৃজিবারে জগতের সৃজনকারিণী।গড়ে পিটে হলো খাড়া, বাজা ভাই ঢোল কাড়া,কুমারের হাতে গড়া ঐ দীনতারিণী।বাজা-ঠমকি ঠমকি ঠিকি, খিনিকিঝিনিকি ঠিনি || ২ কি সাজ সেজেছ মাতা রাঙ্গতার
রাজার উপর রাজা -বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় গাছ পুঁতিলাম ফলের আশায়, পেলাম কেবল কাঁটা।সুখের আশায় বিবাহ করিলাম পেলাম কেবল ঝাঁটা ||বাসের জন্য ঘর করিলাম ঘর গেল পুড়ে।বুড়ো বয়সের জন্য পুঁজি করিলাম
মেঘ -বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আমি বৃষ্টি করিব না। কেন বৃষ্টি করিব? বৃষ্টি করিয়া আমার কি সুখ? বৃষ্টি করিলে তোমাদের সুখ আছে। তোমাদের সুখে আমার প্রয়োজন কি?দেখ, আমার কি যন্ত্রণা নাই? এই দারুণ বিদ্যুদগ্নি আমি অহরহ হৃদয়ে ধারণ করিতেছি। আমার হৃদয়ে সেই সুহাসিনীর উদয় দেখিয়া তোমাদের চক্ষু আনন্দিত হয়, কিন্তু ইহার স্পর্শ মাত্রে তোমরা দগ্ধ হও। সেই
বৃষ্টি -বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় চল নামি-আষাঢ় আসিয়াছে-চল নামি। আমরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বৃষ্টিবিন্দু, একা এক জনে যূথিকাকলির শুষ্ক মুখও ধুইতে পারি না-মল্লিকার ক্ষুদ্র হৃদয় ভরিতে পারি না। কিন্তু আমরা সহস্র সহস্র, লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি,-মনে করিলে পৃথিবী ভাসাই। ক্ষুদ্র কে? দেখ, যে একা, সেই ক্ষুদ্র, সেই সামান্য। যাহার ঐক্য নাই, সেই তুচ্ছ। দেখ, ভাই সকল কেহ একা নামিও না-অর্দ্ধপথে
একসময় ইচ্ছে জাগে, এভাবেই -আবুল হাসান একসময় ইচ্ছে জাগে, মেষপালকের বেশে ঘুরিফিরি; অরণ্যের অন্ধকার আদিম সর্দার সেজে মহুয়ার মাটির বোতল ভেঙ্গে উপজাতি রমণীর বল্কল বসন খুলে জ্যোৎস্নায় হাঁটু গেড়ে বসি- আর তারস্বরে বলে উঠি নারী, আমি মহুয়া বনের এই সুন্দর সন্ধ্যায় পাপী, তোমার নিকটে নত, আজ কোথাও লুকানো কোনো কোমলতা নেই, তাই তোমার চোখের নীচে
একসময় ইচ্ছে জাগে, এভাবেই Read More »