ছেঁড়া পাতা

কবিতার পাতায় হৃদয়ের শব্দ

অচল প্রেমের পদ্য – ১১

অচল প্রেমের পদ্য – ১১ -হেলাল হাফিজ যুক্তি যখন আবেগের কাছে অকাতরে পর্যুদস্ত হতে থাকে,কবি কিংবা যে কোনো আধুনিক মানুষের কাছেসেইটা বোধ করি সবচেয়ে বেশি সংকোচ আর সঙ্কটের সময়। হয় তো এখন আমি তেমনি এক নিয়ন্ত্রনহীননাজুক পরিস্থিতির মুখোমুখি,নইলে এতদিন তোমাকে একটি চিঠিও লিখতে     না পারার কষ্ট কি আমারই কম! মনে হয় মরণের পাখা গজিয়েছে।

অচল প্রেমের পদ্য – ১১ Read More »

অচল প্রেমের পদ্য – ১২

অচল প্রেমের পদ্য – ১২ -হেলাল হাফিজ নখের নিচে রেখেছিলাম    তোমার জন্য প্রেম,কাটতে কাটতেসব খোয়ালাম    বললে না তো, – ‘শ্যাম,এই তো আমি তোমার ভূমি    ভালোবাসার খালা,আঙুল ধরোলাঙ্গল চষো    পরাও প্রণয় মালা’।

অচল প্রেমের পদ্য – ১২ Read More »

মিতাভাষণ

মিতাভাষণ -জীবনানন্দ দাশ তোমার সৌন্দর্য নারী, অতীতের দানের মতন।মধ্যসাগরের কালো তরঙ্গের থেকেধর্মাশোকের স্পষ্ট আহ্বানের মতোআমাদের নিয়ে যায় ডেকেশান্তির সঙ্ঘের দিকে — ধর্মে — নির্বাণে;তোমার মুখের স্নিগ্ধ প্রতিভার পানে।অনেক সমুদ্র ঘুরে ক্ষয়ে অন্ধকারেদেখেছি মণিকা-আলো হাতে নিয়ে তুমিসময়ের শতকের মৃত্যু হলে তবুদাঁড়িয়ে রয়েছে শ্রেয়তর বেলাভূমি:যা হয়েছে যা হতেছে এখুনি যা হবেতার স্নিগ্ধ মালতী-সৌরভে। মানুষের সভ্যতার মর্মে ক্লান্তি আসে;বড়ো

মিতাভাষণ Read More »

সবিতা

সবিতা -জীবনানন্দ দাশ সবিতা, মানুষজন্ম আমরা পেয়েছিমনে হয় কোনো এক বসন্তের রাতে:ভূমধ্যসাগর ঘিরে সেই সব জাতি,তাহাদের সাথেসিন্ধুর আঁধার পথে করেছি গুঞ্জন;মনে পড়ে নিবিড় মেরুন আলো, মুক্তার শিকারী,রেশম, মদের সার্থবাহ,দুধের মতন শাদা নারী। অন্তত রৌদ্রের থেকে তারাশাশ্বত রাত্রির দিকে তবেসহসা বিকেলবেলা শেষ হয়ে গেলেচলে যেত কেমন নীরবে।চারি দিকে ছায়া ঘুম সপ্তর্ষি নক্ষত্র;মধ্যযুগের অবসানস্থির করে দিতে গিয়ে ইউরোপ

সবিতা Read More »

সুচেতনা

সুচেতনা -জীবনান্দ দাশ সুচেতনা, তুমি এক দূরতর দ্বীপবিকেলের নক্ষত্রের কাছে;সেইখানে দারুচিনি-বনানীর ফাঁকেনির্জনতা আছে।এই পৃথিবীর রণ রক্ত সফলতাসত্য; তবু শেষ সত্য নয়।কলকাতা একদিন কল্লোলিনী তিলোত্তমা হবে;তবুও তোমার কাছে আমার হৃদয়। আজকে অনেক রূঢ় রৌদ্রের ঘুরে প্রাণপৃথিবীর মানুষকে মানুষের মতোভালোবাসা দিতে গিয়ে তবু,দেখেছি আমারি হাতে হয়তো নিহতভাই বোন বন্ধু পরিজন পড়ে আছে;পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন;মানুষ তবুও ঋণী

সুচেতনা Read More »

অঘ্রান প্রান্তরে

অঘ্রান প্রান্তরে -জীবনানন্দ দাশ জানি আমি তোমার দু’চোখ আজ আমাকে খোঁজে না                  আর পৃথিবীর’ পরে-’        বলে চুপে থামলাম, কেবলি অশত্থ পাতা পড়ে আছে ঘাসের ভিতরেশুকনো মিয়োনো ছেঁড়া;- অঘ্রান এসেছে আজ পৃথিবীর বনে;সে সবের ঢের আগে আমাদের দুজনের মনেহেমন্ত এসেছে তবু; বললে সে, ‘ঘাসের ওপরে সব

অঘ্রান প্রান্তরে Read More »

বনলতা সেন

বনলতা সেন -জীবনানন্দ দাশ হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরেঅনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতেসেখানে ছিলাম আমি; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,আমারে দুদণ্ড শান্তি দিয়েছিলো নাটোরের বনলতা সেন। চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের ’পরহাল

বনলতা সেন Read More »

পথহাঁটা

পথহাঁটা – জীবনানন্দ দাশ কী এক ইশারা যেন মনে রেখে একা একা শহরের পথ থেকে পথে অনেক হেঁটেছি আমি; অনেক দেখেছি আমি ট্রাম-বাস সব ঠিক চলে;তারপর পথ ছেড়ে শান্ত হয়ে চলে যায় তাহাদের ঘুমের জগতে: সারারাত গ্যাস লাইট আপনার কাজ বুঝে ভালো করে জ্বলে।কেউ ভুল করে নাকো-ইঁট বাড়ি সাইনবোর্ড জানালা কপাট ছাদ সবচুপ হয়ে ঘুমাবার প্রয়োজন

পথহাঁটা Read More »

জীবনানন্দ দাশ

জীবনান্দ দাশের কবিতা কবিতার নাম (কাব্যগ্রন্থ) বনলতা সেন (বনলতা সেন) পথহাঁটা (বনলতা সেন) অঘ্রান প্রান্তরে (বনলতা সেন) সুচেতনা (বনলতা সেন) সবিতা (বনলতা সেন) মিতাভাষণ (বনলতা সেন) সুরঞ্জনা (বনলতা সেন) হাজার বছর শুধু খেলা করে (বনলতা সেন) শিরীষের ডালপালা (বনলতা সেন) ধান কাটা হয়ে গেছে (বনলতা সেন) তুমি (বনলতা সেন) আমাকে তুমি (বনলতা সেন) স্বপ্নের ধ্বনিরা

জীবনানন্দ দাশ Read More »

Verified by MonsterInsights