অচল প্রেমের পদ্য – ০১ -হেলাল হাফিজ আছি।বড্ড জানান দিতে ইচ্ছে করে, – আছি,মনে ও মগজেগুন্‌ গুন্‌ করেপ্রণয়ের মৌমাছি।

অচল প্রেমের পদ্য – ০২ -হেলাল হাফিজ কোনদিন, আচমকা একদিনভালোবাসা এসে যদি হুট করে বলে বসে,-‘চলো যেদিকে দুচোখ যায় চলে যাই’,যাবে?

অচল প্রেমের পদ্য – ০৩ -হেলাল হাফিজ তোমার জন্য সকাল, দুপুরতোমার জন্য সন্ধ্যাতোমার জন্য সকল গোলাপএবং রজনীগন্ধা।

অচল প্রেমের পদ্য – ০৪ -হেলাল হাফিজ ভালোবেসেই নাম দিয়েছি ‘তনা’মন না দিলেছোবল দিও তুলে বিষের ফণা।

অচল প্রেমের পদ্য – ০৫ -হেলাল হাফিজ তোমার হাতে দিয়েছিলাম অথৈ সম্ভাবনাতুমি কি আর অসাধারণ? তোমার যে যন্ত্রনাখুব মামুলী, বেশ করেছো চতুর সুদর্শনাআমার সাথে চুকিয়ে ফেলে চিকন বিড়ম্বনা।

অচল প্রেমের পদ্য – ০৬ -হেলাল হাফিজ যদি যেতে চাও, যাওআমি পথ হবো চরণের তলেনা ছুঁয়ে তোমাকে ছোঁবফেরাবো না, পোড়াবোই হিমেল অনলে।

অচল প্রেমের পদ্য – ০৭ -হেলাল হাফিজ আমাকে উস্টা মেরে দিব্যি যাচ্ছো চলে,দেখি দেখিবাঁ পায়ের চারু নখে চোট লাগেনি তো;ইস্‌! করছো কি? বসো না লক্ষ্মীটি,ক্ষমার রুমালে মুছে সজীব ক্ষতেইএন্টিসেপটিক দুটো চুমু দিয়ে দেই।

অচল প্রেমের পদ্য – ০৮ -হেলাল হাফিজ তুমি কি জুলেখা, শিরী, সাবিত্রী, নাকি রজকিনী?চিনি, খুব জানিতুমি যার তার, যে কেউ তোমার,তোমাকে দিলাম না – ভালোবাসার অপূর্ব অধিকার।

অচল প্রেমের পদ্য – ০৯ -হেলাল হাফিজ আজন্ম মানুষ আমাকে পোড়াতে পোড়াতে কবি করে তুলেছেমানুষের কাছে এওতো আমার এক ধরনের ঋণ।এমনই কপাল আমারঅপরিশোধ্য এই ঋণ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।

অচল প্রেমের পদ্য – ১০ -হেলাল হাফিজ হয়তো তোমাকে হারিয়ে দিয়েছিনয় তো গিয়েছি হেরেথাক না ধ্রুপদী অস্পষ্টতাকে কাকে গেলাম ছেড়ে।