ছেঁড়া পাতা

কবিতার পাতায় হৃদয়ের শব্দ

নকশী কাঁথার মাঠ – ০৮

নকশী কাঁথার মাঠ – ০৮ -জসীমউদ্দীন আট “কি কর দুল্যাপের মালো ; বিভাবনায় বসিয়া,আসত্যাছে বেটির দামান ফুল পাগড়ি উড়ায়া নারে |”“আসুক আসুক বেটির দামান কিছু চিন্তা নাইরে,আমার দরজায় বিছায়া থুইছি কামরাঙা পাটি মারে |সেই ঘরেতে নাগায়া খুইছি মোমের সস্র বাতি,বাইর বাড়ি বান্দিয়া থুইছি গজমতি হাতি নারে |”. — মুসলমান মেয়েদের বিবাহের গান বিয়ের কুটুম এসেছে আজ সাজুর […]

নকশী কাঁথার মাঠ – ০৮ Read More »

নকশী কাঁথার মাঠ – ০৯

নকশী কাঁথার মাঠ – ০৯ -জসীমউদ্দীন নয় মত্স চেনে গহিন গম্ভ পঙ্খী চেনে ডাল ;মায় সে জানে বিটার দরদ যার কলিজার শ্যাল!নানান বরণ গাভীরে ভাই একই বরণ দুধ ;জগৎ ভরমিয়া দেখলাম একই মায়ের পুত |. — গাজীর গান আষাঢ় মাসে রূপীর মায়ে মরল বিকার জ্বরে,রূপা সাজু খায়নি খানা সাত আট দিন ধরে |লালন পালন যে করিত “ঠোঁটের”

নকশী কাঁথার মাঠ – ০৯ Read More »

নকশী কাঁথার মাঠ – ১০

নকশী কাঁথার মাঠ – ১০ – জসীমউদ্দীন দশ বড় ঘর বান্দাছাও মোনাভাই বড় করছাও আশারজনী প্রভাতের কালে পঙ্খী ছাড়বে বাসা |. — মুর্শীদা গান নতুন চাষা ও নতুন চাষাণী পাতিল নতুন ঘর,বাবুই পাখিরা নীড় বাঁধে যথা তালের গাছের পর |মাঠের কাজেতে ব্যস্ত রূপাই, নয়া বউ গেহ কাজে,দুইখান হতে দুটি সুর যেন এ উহারে ডেকে বাজে |ঘর চেয়ে

নকশী কাঁথার মাঠ – ১০ Read More »

নকশী কাঁথার মাঠ – ১১

নকশী কাঁথার মাঠ – ১১ -জসীমউদ্দীন এগার সাজ সাজ বলিয়ারে শহরে পৈল সাড়া,সাত হাজার বাজে ঢোল চৌদ্দ হাজার কাড়া |প্রথমে সাজিল মর্দ আহ্লাদি ডগরি,পাঁচ কাঠে ভুঁই জুইড়া বসে মর্দ এয়সা ভারি |তারপরে সাজিল মর্দ তুরক আমানি,সমুদ্দুরে নামলে তার হৈল আঁটুপানি |তারপরে সাজিল মর্দ নামে লোহাজুড়ী,আছড়াইয়া মারত সে হাতীর শুঁড় ধরি |তারপরে নামিল মর্দ নামে আইন্দ্যা ছাইন্দ্যা,বাইশ

নকশী কাঁথার মাঠ – ১১ Read More »

নকশী কাঁথার মাঠ – ১২

নকশী কাঁথার মাঠ – ১২ -জসীমউদ্দীন বার রাইত তুই যা রে পোহাইয়ে |বেলা গে ল সন্ধ্যা হৈল—ও হৈলরে! গৃহে জ্বালাও বাতি,না জানি অবলার বন্ধু আসবেন কত রাতিরে!রাইত তুই—যা পোহাইয়েরাইত না এক পরের হৈল, ও হৈলরে! তারায় জ্বলে বাতি ;রান্ধিয়া বাড়িয়া অন্ন জাগ্ ব কত রাতিরে ;রাইত তুই যারে—যা পোহাইয়ে |রাইত না দুই পরের হৈল ও হৈলরে,

নকশী কাঁথার মাঠ – ১২ Read More »

নকশী কাঁথার মাঠ – ১৩

নকশী কাঁথার মাঠ – ১৩ -জসীমউদ্দীন তেরো বিদ্যাশেতে রইলা মোর বন্ধুরে |বিধি যদি দিত পাখা,উইড়া যাইয়া দিতাম দেখা ;আমি উইড়া পড়তাম সোনা বন্ধুর দেশেরে |আমরা ত অবলা নারী,তরুতলে বাসা বান্ধিরে ;আমার বদন চুয়ায়া পড়ে ঘামরে |বন্ধুর বাড়ী গঙ্গার পারগেলে না আসিবা আর ;আমার না জান বন্ধু, না জানে সাঁতাররে |বন্ধু যদি আমার হওউইড়া আইসা দেখা দাওতুমি

নকশী কাঁথার মাঠ – ১৩ Read More »

নকশী কাঁথার মাঠ – ১৪

নকশী কাঁথার মাঠ – ১৪ -জসীমউদ্দীন চৌদ্দ উইড়া যায়রে হংস পক্ষি পইড়া রয়রে ছায়া ;দেশের মানুষ দেশে যাইব—কে করিবে মায়া |— মুর্শিদা গান আজো এই গাঁও অঝোরে চাহিয়া ওই গাঁওটির পানে,নীরবে বসিয়া কোন্ কথা যেন কহিতেছে কানে কানে |মধ্যে অথই শুনো মাঠখানি ফাটলে ফাটলে ফাটি,ফাগুনের রোদে শুকাইছে যেন কি ব্যথারে মূক মাটি!নিঠুর চাষীরা বুক হতে তার ধানের

নকশী কাঁথার মাঠ – ১৪ Read More »

পথ নহে অন্তহীন

পথ নহে অন্তহীন -সুফিয়া কামাল প্রসন্ন প্রভাতে আজি যাত্রা শুরু কর হে কাফেলা!সম্মুখে আলোকদীপ্ত বেলা।দূর পথ প্রসারিত, দিকে দিকে চঞ্চল জীবন।আঁধার নির্মোক হতে কর উন্মোচনগতিময় দৃপ্ত প্রাণাবেগ,ভেদ করি সংশয়ের মেঘচলো চলো যাত্রাপথে, সম্মুখে অনন্ত সম্ভাবনা!পথে পথে যদি দেয় হানাখল মুষিকের দল, তবু চলো চলো হে কাফেলা!তোমারে দেখাবে পথ দীপ্ত রাঙ্গা উদয়ের বেলা।আবারও নামিবে রাত্রি, তবু

পথ নহে অন্তহীন Read More »

কালের যাত্রার ধ্বনি

কালের যাত্রার ধ্বনি -সুফিয়া কামাল কাল কভু চুপ নাহি রয়,কথা কয়, সে যে কথা কয়।সে আবার জেগে ওঠে প্রত্যহের জীবন-স্পন্দনে;সে দুর্বার প্রাণবেগে বেঁচে ওঠে নিত্যের স্মরণে।দুর্জয় শক্তিতে তার কীর্তি লেখে যুগের প্রাচীরেশতাব্দীর সাক্ষ্য রাখি, দিবস-নিশীথ-বক্ষ চিরেগতি চলে তার,তার সাথে ছন্দ রেখে চলে সিন্ধু নদী পারাবার।কত প্রভাতের সূর্য হেসে আসে বাড়াইয়া কর,হেলে পড়ে শোণিতাক্ত দীপ্ত দ্বিপ্রহর,শোকাচ্ছন্ন

কালের যাত্রার ধ্বনি Read More »

মিটাতে জঠর ক্ষুধা

মিটাতে জঠর ক্ষুধা – সুফিয়া কামাল অন্তর তৃষা মিটাতে এনেছে মমতার মধু-সুধা?রিক্তের প্রাণ ভরিবে কি আজ পুণ্যের আশ্বাসে?অবহেলিতেরে ডেকে নেবে ঘরে, তাদের দীর্ঘশ্বাসে।ব্যথিত মনের সম বেদনায় দূর করি দিয়ে প্রাণজুড়াবে, শুনাবে ভরসায় ভরা আগামী দিনের গান? হে কাফেলা! তুমি চল পাঁওদল কাঁধেতে মিলায়ে কাঁধ,পথে পথে আজ চলিছে যাহারা তাহাদের সংবাদলও, শোনো ঘরে কারআজও আছে অনাহার,তবুও ভিক্ষা

মিটাতে জঠর ক্ষুধা Read More »

Verified by MonsterInsights