ছেঁড়া পাতা

কবিতার পাতায় হৃদয়ের শব্দ

তাহারেই পড়ে মনে

তাহারেই পড়ে মনে -সুফিয়া কামাল “হে কবি! নীরব কেন-ফাল্গুন যে এসেছে ধরায়,বসন্তে বরিয়া তুমি লবে না কি তব বন্দনায়?”কহিল সে স্নিগ্ধ আঁখি তুলি-“দখিন দুয়ার গেছে খুলি?বাতাবী নেবুর ফুল ফুটেছে কি? ফুটেছে কি আমের মুকুল?দখিনা সমীর তার গন্ধে গন্ধে হয়েছে কি অধীর আকুল?” “এখনো দেখনি তুমি?” কহিলাম “কেন কবি আজএমন উন্মনা তুমি? কোথা তব নব পুষ্পসাজ?”কহিল সে […]

তাহারেই পড়ে মনে Read More »

বাসন্তী

বাসন্তী -সুফিয়া কামাল আমার এ বনের পথেকাননে ফুল ফোটাতেভুলে কেউ করত না গোকোনদিন আসা-যাওয়া।সেদিন ফাগুন-প্রাতেঅরুণের উদয়-সাথেসহসা দিল দেখাউদাসী দখিন হাওয়া।…বুকে মোর চরণ ফেলেবধুঁ মোর আজকে এলেআজি যে ভরা সুখেকেবলই পরাণ কাঁদে।

বাসন্তী Read More »

সাঁঝের মায়া

সাঁঝের মায়া -সুফিয়া কামাল অনন্ত সূর্যাস্ত-অন্তে আজিকার সূর্যাস্তের কালেসুন্দর দক্ষিণ হস্তে পশ্চিমের দিকপ্রান্ত-ভালেদক্ষিণা দানিয়া গেল, বিচিত্র রঙের তুলি তার_বুঝি আজি দিনশেষে নিঃশেষে সে করিয়া উজাড়দানের আনন্দ গেল শেষ করি মহাসমারোহে।সুমধুর মোহেধীরে ধীরে ধীরেপ্রদীপ্ত ভাস্কর এসে বেলাশেষে দিবসের তীরেডুবিল যে শান্ত মহিমায়,তাহারি সে অস্তরাগে বসন্তের সন্ধ্যাকাশ ছায়।ওগো ক্লান্ত দিবাকর! তব অস্ত-উৎসবের রাগেহেথা মর্তে বনানীর পল্লবে পল্লবে

সাঁঝের মায়া Read More »

নকশী কাঁথার মাঠ – ০১

নকশী কাঁথার মাঠ – ০১ -জসীমউদ্দীন এক বন্ধুর বাড়ি আমার বাড়ি মধ্যে ক্ষীর নদী,উইড়া যাওয়ার সাধ ছিল, পাঙ্খা দেয় নাই বিধি |— রাখালী গান এই এক গাঁও, ওই এক গাঁও — মধ্যে ধু ধু মাঠ,ধান কাউনের লিখন লিখি করছে নিতুই পাঠ |এ-গাঁও যেন ফাঁকা ফাঁকা, হেথায় হোথায় গাছ ;গেঁয়ো চাষীর ঘরগুলি সব দাঁড়ায় তারি পাছ |ও-গাঁয় যেন

নকশী কাঁথার মাঠ – ০১ Read More »

নকশী কাঁথার মাঠ – ০২

নকশী কাঁথার মাঠ – ০২ -জসীমউদ্দীন দুই এক কালা দতের কালি যা দ্যা কলম লেখি,আর এক কালা চক্ষের মণি, যা দ্যা দৈনা দেখি,—ও কালা, ঘরে রইতে দিলি না আমারে |— মুর্শিদা গান এই গাঁয়ের এক চাষার ছেলে লম্বা মাথার চুল,কালো মুখেই কালো ভ্রমর, কিসের রঙিন ফুল!কাঁচা ধানের পাতার মত কচি-মুখের মায়া,তার সাথে কে মাখিয়ে দেছে নবীন তৃণের

নকশী কাঁথার মাঠ – ০২ Read More »

নকশী কাঁথার মাঠ – ০৩

নকশী কাঁথার মাঠ – ০৩ -জসীমউদ্দীন তিন চন্দনের বিন্দু বিন্দু কাজলের ফোঁটাকালিয়া মেঘের আড়ে বিজলীর ছটা— মুর্শিদা গান ওই গাঁখানি কালো কালো, তারি হেলান দিয়ে,ঘরখানি যে দাঁড়িয়ে হাসে ছোনের ছানি নিয়ে ;সেইখানে এক চাষীর মেয়ে নামটি তাহার সোনা,সাজু বলেই ডাকে সবে, নাম নিতে যে গোনা |লাল মোরগের পাখার মত ওড়ে তাহার শাড়ী,ভোরের হাওয়া যায় যেন গো প্রভাতী

নকশী কাঁথার মাঠ – ০৩ Read More »

নকশী কাঁথার মাঠ – ০৪

নকশী কাঁথার মাঠ – ০৪ -জসীমউদ্দীন চার কানা দেয়ারে, তুই না আমার ভাই,আরও ফুটিক ডলক দে, চিনার ভাত খাই— মেঘরাজার গান চৈত্র গেল ভীষণ খরায়, বোশেখ রোদে ফাটে,এক ফোঁটা জল মেঘ চোঁয়ায়ে নামল না গাঁর বাটে |ডোলের বেছন ডোলে চাষীর, বয় না গরু হালে,লাঙল জোয়াল ধূলায় লুটায় মরচা ধরে ফালে |কাঠ-ফাটা রোদ মাঠ বাটা বাট আগুন লয়ে

নকশী কাঁথার মাঠ – ০৪ Read More »

নকশী কাঁথার মাঠ – ০৫

নকশী কাঁথার মাঠ – ০৫ -জসীমউদ্দীন পাঁচ লাজ-রক্ত হইল কন্যার পরথম যৌবন— ময়মনসিংহ গীতিকা আশ্বিনেতে ঝড় হাঁকিল, বাও ডাকিল জোরে,গ্রামভরা-ভর ছুটল ঝপট লট্ পটা সব করে |রূপার বাড়ির রুশাই-ঘরের ছুটল চালের ছানি,গোয়াল ঘরের খাম থুয়ে তার চাল যে নিল টানি |ওগাঁর বাঁশ দশটা টাকায়, সে-গাঁয় টাকায় তেরো,মধ্যে আছে জলীর বিল কিইবা তাহে গেরো |বাঁশ কাটিতে চলল রূপাই

নকশী কাঁথার মাঠ – ০৫ Read More »

নকশী কাঁথার মাঠ – ০৬

নকশী কাঁথার মাঠ – ০৬ – জসীমউদ্দীন ছয় ও তুই ঘরে রইতে দিলি না আমারে |. — রাখালী গান ঘরেতে রূপার মন টেকে না যে, তরলা বাঁশীর পারা,কোন বাতাসেতে ভেসে যেতে চায় হইয়া আপন হারা |কে যেন তার মনের তরীরে ভাটির করুণ তানে,ভাটিয়াল সোঁতে ভাসাইয়া নেয় কোন্ সে ভাটার পানে |সেই চিরকেলে গান আজও গাহে, সুরখানি তার

নকশী কাঁথার মাঠ – ০৬ Read More »

নকশী কাঁথার মাঠ – ০৭

নকশী কাঁথার মাঠ – ০৭ -জসীমউদ্দীন সাত “ঘটক চলিল চলিল সূর্য সিংহের বাড়িরে” |— আসমান সিংহের গান কান্-কানা-কান্ ছুটল কথা গুন্-গুনা-গুন তানে,শোন্-শোনা-শোন সবাই শোনে, কিন্তু কানে কানে |“কি করগো রূপার মাতা? খাইছ কানের মাথা?ও-দিক যে তোর রূপার নামে রটছে গাঁয়ে যা তা!আমরা বলি রূপাই এমন সোনার কলি ছেলে,তার নামে হয় এমন কথা দেখব কি কাল গেলে?”এই বলিয়া

নকশী কাঁথার মাঠ – ০৭ Read More »

Verified by MonsterInsights