ছেঁড়া পাতা

কবিতার পাতায় হৃদয়ের শব্দ

তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ

তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ -সৈয়দ শামসুল হক আমি জন্মেছি বাংলায়আমি বাংলায় কথা বলি।আমি বাংলার আলপথ দিয়ে, হাজার বছর চলি।চলি পলিমাটি কোমলে আমার চলার চিহ্ন ফেলে।তেরশত নদী শুধায় আমাকে, কোথা থেকে তুমি এলে ? আমি তো এসেছি চর্যাপদের অক্ষরগুলো থেকেআমি তো এসেছি সওদাগরের ডিঙার বহর থেকে।আমি তো এসেছি কৈবর্তের বিদ্রোহী গ্রাম থেকেআমি তো এসেছি পালযুগ নামে চিত্রকলার

তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ Read More »

তুমিই শুধু তুমি

তুমিই শুধু তুমি -সৈয়দ শামসুল হক তোমার দেহে লতিয়ে ওঠা ঘন সবুজ শাড়ি।কপালে ওই টকটকে লাল টিপ।আমি কি আর তোমাকে ছেড়েকোথাও যেতে পারি?তুমি আমার পতাকা, আমার কৃষির বদ্বীপ। করতলের স্বপ্ন-আমন ধানের গন্ধ তুমিতুমি আমার চিত্রকলার তুলি।পদ্য লেখার ছন্দ তুমি−সকল শব্দভুমি।সন্তানের মুখে প্রথম বুলি। বুকে তোমার দুধের নদী সংখ্যা তেরো শত।পাহাড় থেকে সমতলে যে নামি− নতুন চরের মতো তোমার

তুমিই শুধু তুমি Read More »

এখন মধ্যরাত

এখন মধ্যরাত -সৈয়দ শামসুল হক এখন মধ্যরাত।তখন দুপুরে রাজপথে ছিলো মানুষের পদপাত।মিছিলে মিছিলে টলমল ছিলো সারাদিন রাজধানী।এখন কেবল জননকূল ছল বুড়িগঙ্গার পানিশান্ত নীরবনিদ্রিত সব।ওই একজন জানালায় রাখে তার বিনিদ্র হাতছিলো একদিন তারউজ্জ্বল দিন, ছিলো যৌবন ছিলো বহু চাইবার।সারা রাত চষে ফিরেছে শহর খুঁজেছে সে ভালোবাসা।পেতেছে সে হাত জীবনের কাছে ছিলো তারও প্রত্যাশা পাওয়া না পাওয়ারপ্রশ্নে

এখন মধ্যরাত Read More »

আমি একটুখানি দাঁড়াব

আমি একটুখানি দাঁড়াব -সৈয়দ শামসুল হক আমি একটুখানি দাঁড়াব এবং দাঁড়িয়ে চলে যাব;শুধু একটু থেমেই আমি আবার এগিয়ে যাব;না, আমি থেকে যেতে আসিনি;এ আমার গন্তব্য নয়;আমি এই একটুখানি দাঁড়িয়েইএখান থেকেচলে যাব।আমি চলে যাবতোমাদের এই শহরের ভেতর দিয়ে খুব তাড়াতাড়িএর মার্চপাস্টের যে সমীকরণএবং এর হেলিকপ্টারের যে চংক্রমণ,তার তল দিয়ে তড়িঘড়ি;আমি চলে যাবতোমাদের কমার্সিয়াল ব্লকগুলোর জানালা থেকেঅনবরত

আমি একটুখানি দাঁড়াব Read More »

পরানের গহীন ভিতর-১২

পরানের গহীন ভিতর-১২ -সৈয়দ শামসুল হক উঠানের সেই দিকে আন্ধারের ইয়া লম্বা লাশ,শিমের মাচার নিচে জোছনার সাপের ছলম,পরীরা সন্ধান করে যুবতীর ফুলের কলম,তারার ভিতরে এক ধুনকার ধুনায় কাপাশ,আকাশে দোলায় কার বিবাহের রুপার বাসন,গাবের বাবরি চুল আলখেল্লা পরা বয়াতির,গাভির ওলান দিয়া ক্ষীণ ধারে পড়তাছে ক্ষীর,দুই গাঙ্গ এক হয়া যাইতাছে- কান্দন, হাসন।একবার আসবা না?- তোমারেও ডাক দিতে

পরানের গহীন ভিতর-১২ Read More »

পরানের গহীর ভিতর-১১

পরানের গহীর ভিতর-১১ -সৈয়দ শামসুল হক কি আছে তোমার দ্যাশে? নদী আছে? আছে নাকি ঘর?ঘরের ভিতরে আছে পরানের নিকটে যে থাকে?উত্তর সিথানে গাছ, সেই গাছে পাখির কোটরআছে নাকি? পাখিরা কি মানুষের গলা নিয়া ডাকে?যখন তোমার দ্যাখা জানা নাই পাবো কি পাবো না,যখন গাছের তলে এই দেহ দিবে কালঘুম,যথন ফুরায়া যাবে জীবনের নীল শাড়ি-বোনাতখন কি তারা

পরানের গহীর ভিতর-১১ Read More »

পরানের গহীন ভিতর-১০

পরানের গহীন ভিতর-১০ -সৈয়দ শামসুল হক কে য্যান কানতে আছে- তার শব্দ পাওয়া যায় কানে,নদীও শুকায়া যায়, আকালের বাতাস ফোঁপায়,মানুষেরা বাড়িঘর বানায় না আর এই খানে,গোক্ষুর লতায়া ওঠে যুবতীর চুলের খোঁপায়।বুকের ভিতর থিকা লাফ দিয়া ওঠে যে চিক্কুর,আমি তার সাথে দেই শিমুলের ফুলের তুলনা,নিথর দুফুর বেলা, মরা পাখি, রবি কি নিষ্ঠুর,আগুন লাগায়া দিবে, হবে খাক,

পরানের গহীন ভিতর-১০ Read More »

পরানের গহীন ভিতর-৯

পরানের গহীন ভিতর-৯ -সৈয়দ শামসুল হক একবার চাই এক চিক্কুর দিবার, দিমু তয়?জিগাই কিসের সুখে দুঃখ নিয়া তুমি কর ঘর?আঙিনার পাড়ে ফুলগাছ দিলে কি সোন্দর হয়,দুঃখের কুসুম ঘিরা থাকে যার, জীয়ন্তে কবর।পাথারে বৃক্ষের তরে ঘন ছায়া জুড়ায় পরান,গাঙের ভিতরে মাছ সারাদিন সাঁতরায় সুখে,বাসরের পরে ছায়া য্যান দেহে গোক্ষুর জড়ান,উদাস সংসারে ব্যথা সারাদিন ঘাই দেয় বুকে।তবুও

পরানের গহীন ভিতর-৯ Read More »

পরানের গহীন ভিতর-৮

পরানের গহীন ভিতর-৮ -সৈয়দ শামসুল হক আমারে তলব দিও দ্যাখো যদি দুঃখের কাফনতোমারে পিন্ধায়া কেউ অন্যখানে যাইবার চায়মানুষ কি জানে ক্যান মোচড়ায় মানুষের মন,অহেতুক দুঃখ দিয়া কেউ ক্যান এত সুখ পায়?নদীরে জীবন কই, সেই নদী জল্লাদের মতোক্যান শস্য বাড়িঘর জননীর শিশুরে ডুবায়?যে তারে পরান কই, সেই ব্যাক্তি পাইকের মতোআমার উঠানে ক্যান নিলামের ঢোলে বাড়ি দ্যায়?যে

পরানের গহীন ভিতর-৮ Read More »

Verified by MonsterInsights