চিল্কায় সকাল
কী ভালো আমার লাগলো আজ এই সকালবেলায়,
কেমন করে বলি!
কী নির্মল নীল এই আকাশ,
কী অসহ্য সুন্দর!
যেন গুণীর কণ্ঠে অবাধ উন্মুক্ত তান,
দিগন্ত থেকে দিগন্তে।
কী ভালো আমার লাগল এই আকাশের দিকে তাকিয়ে।
চারদিক সবুজ পাহাড়ে আঁকাবাঁকা,
কুয়াশায় ধোঁয়াটে,
মাঝখানে চিল্কা উঠছে ঝিলকিয়ে।
তুমি কাছে এলে,
একটু বসলে,
তারপর গেলে ওদিকে,
ইস্টিশনে গাড়ি এসে দাঁড়িয়েছে, তা-ই দেখতে।
গাড়ি চলে গেল।
– কী ভালো তোমাকে বাসি,
কেমন করে বলি!
আকাশে সূর্যের বন্যা, তাকানো যায় না।
গরুগুলো একমনে ঘাস ছিঁড়ছে, কী শান্ত।
– তুমি কি কখনো ভেবেছিলে এই হ্রদের ধারে এসে
আমরা পাব
যা এতদিন পাই নি?
রুপোলি জল শুয়ে-শুয়ে স্বপ্ন দেখছে,
নীলের স্রোতে ঝরে পড়ছে তার বুকের উপর সমস্ত আকাশ
সূর্যের চুম্বনে।
– এখানে জ্বলে উঠবে অপরূপ ইন্দ্রধনু
তোমার আর আমার রক্তের সমুদ্রকে ঘিরে
কখনো কি ভেবেছিলে?
কাল চিল্কায় নৌকোয় যেতে-যেতে আমরা দেখেছিলাম
দুটো প্রজাপতি কত দূর থেকে উড়ে আসছে
জলের উপর দিয়ে।
– কী দুঃসাহস!
তুমি হেসেছিলে,
আর আমার
কী ভালো লেগেছিল
তোমার সেই উজ্জ্বল অপরূপ সুখ।
দ্যাখো, দ্যাখো,
কেমন নীল এই আকাশ।
– আর তোমার চোখে
কাঁপছে কত আকাশ,
কত মৃত্যু,
কত নতুন জন্ম
কেমন করে বলি।